বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ (হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক) প্রতিরোধ বিষয়ক ওয়েবিনারে এক সাংবাদিকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভী বাজারের সাংবাদিকরা অংশ গ্রহনের এ ওয়েবিনার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের-এর সভাপতিত্বে ও সংস্থা’র উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভার সঞ্চালনায় কর্মশালায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের।
এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন, জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বিপুল জনগোষ্ঠীকে এই রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের দ্রæত বাস্তবায়ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োাজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
অনলাইনে আয়োজিত “হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
গেøাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় সিলেট বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৯জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রাপ্তি এক্ষেত্রে কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, সিলেট জেলায় শুরু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়ার কর্মসূচি সারাদেশে সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নার থেকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের একমাসের ওষুধ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীদের দুই থেকে তিন মাসের ওষুধ একবারে দেয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন করা হলে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধের প্রাপ্র্যতা নিশ্চিত করা গেলে স্বল্প ব্যয়ে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।