সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুর উপজেলার কাটাগাঙ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সিলেট সদরের খাদিমপাড়া ৩ নং রোড এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫০)। তারা উভয়ই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
আহত অপর ব্যাক্তি সিএনজি অটোরিকশা চালক মিজানুর রহমান (২৫)। তিনি একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বাস (সিলেট -ব ১১-০৬৫৫) এর সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা জাফলংগামী সিএনজি অটোরিকশা (সিলেট -থ -১২-৯৫৮০) এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দূর্ঘটনাস্হলে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ও স্হানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্হায় তিনজনকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় গুরুতর আহত রোকেয়া বেগমের স্বামী বাদশা মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মিয়াও মারা যান।
আহত সিএনজি চালক মিজানুর রহমান এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দূর্ঘটনার পর দুটি যানই তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।