বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমরা বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাতে চাই। কিন্তু তাদের দ্বৈতনীতিকে ধিক্কার জানাই। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মূল্যে সিটি নির্বাচনকে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু জনসমর্থন হারানো বিএনপি এই নির্বাচনে নাখোশ।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখ দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বললেও ভিতরে ভিতরে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে মাঠে রাখতে মরিয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সিলেট নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
নানক আরও বলেন, সিলেটের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। যে কারণে সিলেটের মাটি ও মানুষের কল্যাণে তিনি বরাবরই আন্তরিকতায় পরিচয় দিয়ে গেছেন। দলীয় মানুষ না থাকার পরও তিনি উজার করে দিয়েছেন সবকিছু। কিন্তু দুর্ভাগ্য অপরিকল্পিত উন্নয়নের খেসারত স্বরূপ নগরবাসীকে এখনও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি শ্রীভূমি সিলেট রক্ষায় এবার দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন যুদ্ধে মাঠে নামার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দলে খন্দকার মোশতাকের অনুসারী যেমন রয়েছে, তেমনি মুজিবাদর্শের লড়াকু এবং ত্যাগী কর্মীরাও রয়েছেন। মোস্তাক বাহিনীর কারণেই বিগত দিনে এই নগরের অভিভাবক বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারতে হয়েছে। এবার সেই সুযোগের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। দলের প্রতিটি ওয়ার্ডে সভাপতি এবং সম্পাদকের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সজাগ দৃষ্টি থাকবে আওয়ামী লীগের। যাদের ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী পুরস্কার এবং তিরস্কার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমন কোন কর্মকান্ড করবেন না যাতে করে রংপুরের পরিনতি ভোগ করতে হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নানক আরও বলেন, মাথার চারপাশে শকূনের দল উড়াউড়ি করছে। অতএব মুজিব সৈনিকদের এখন যুদ্ধের সময়। যুদ্ধের দামামাও বেজে উঠেছে। সেই সুর যার কানে পৌছে না, তিনি ব্যর্থ। তিনি মুজিবাদর্শের অযোগ্য, আওয়ামী লীগের অযোগ্য। ভুলে গেলে চলবে না, সংগ্রামে, সঙ্কটে, দুর্যোগে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই পাশে দাঁড়িয়েছে গণমানুষের।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুলের যৌথ পরিচালনায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
সভায় অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধূরী নাদেল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: মুশফিক হোসেন চৌধুরী, আজিজুস সামাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট -৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।