যাদুকাটা ও ধোপাজান নদী সুরক্ষা ও সংরক্ষণে বেপরোয়া বালি-পাথর খেকু সিন্ডিকেটে দৌরাত্¥ বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুনামগঞ্জনপরিবেশ রক্ষা আন্দোলন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের সভাপতি এ কে এম নাছার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি শওকত আলী, সাইফুল আলম ছদরুল, নূরুল হাসান আতাহের, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদ, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মানিক উল্লাহ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, যাদুকাটা ও ধোপাজান চলতি নদীতে উজান থেকে পাহাড়ী ঢলে বালি ও পাথর নেমে আসতে। সনাতন পদ্ধতিতে বালতি ও বেলচা দিয়ে শ্রমিকরা বালি ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বালি ও পাথর উত্তোলনকারি শ্রমিকদের বারকি শ্রমিক বলা হয়। বারকি শ্রমিকরা বালতি ও বেলচা দিয়ে নদীর মাঝামাঝি জায়গা থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করতেন। ফলে যেমন নদীর নাব্যতা রক্ষা পেত। প্রাকৃতিকভাবে প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলে বালি ও পাথরে আবার নদী ভরে যেত। এমনিভাবে আবহমান কাল থেকে চলে এসেছে বালি ও পাথর উত্তোলন। এরপর মুজুরি বৃদ্ধির জন্য বারকি শ্রমিকরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
অত্যন্ত দু:খের বিষয় স্বল্প সময়ে অধিক মোনাফার জন্য বালি ও পাথর মহাল ইজারাদাররা ১৩/১৪ বছর ধরে মহালগুলোতে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালি ও পাথর উত্তোলনের ফলে একদিকে, বারিক শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, নদী হারাচ্ছে তার প্রকৃত রূপ, লাবন্য ও যৌবন। বালি ও পাথর খেকুচক্র নদীর মাঝামাঝি থেকে শুধু বালি ও পাথর উত্তোলন করেই ক্ষ্যান্ত হয়। তারা নদীর পার, কেটে বালি ও পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর পারের বাসিন্দারা হারাচ্ছেন তাদের বসত ভিটা, বিলিন হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। অবিলম্বে বালি ও পাথর খেকুদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে।