প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অত্যাচার আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের করে দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ ব্যবহার করে বিএনপি সরকারের সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সাথে মিলে এদেশের কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, উন্নতি না হলে এগুলো হয় কী করে?
বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, এরা (বিএনপি) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, একটা লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল এই দেশে। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করায়। এমনকি সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।