শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আপন দৃষ্টি ৩৮

আব্দুল মালিক

  • সাংবাদিক ও কলাম লেখক
  • ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ১১ জুলাই ২০২০

দুইশত বৎসরের ইংরেজ শাসন আর ২৪ বছরের পাকিস্তানী শোষণের পরেও অর্ধশত বছর বয়সের বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এবং যতটুকু এগিয়ে এসেছে, এর পিছনে স্বার্থকথা ও ব্যর্থতা নিয়ে বলতে চাই। দেশপ্রেম, সততা ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বুকে হাত দিয়ে আপনার বিবেকের আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় জেরা শুরু করুন।

১৭৭৬ সালের ৪টা জুন আমেরিকা স্বাধীনতা লাভ করে আজ বিশ্বের বৃহত্তরতম শক্তিশালী একটি দেশ। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফরের কারণে ১৯০ বছরের জন্য ইংরেজ শাসনের সূচনা হয়। যে আমেরিকা ১৭৭৬ সালে ২শত বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করে আজ বিশ্বের সেরা শক্তিশালী দেশে রূপান্তরিত হতে পারল, সেখানে যদি ২শত বছর আগে বাংলা পরাধীন না হত, তাহলে অবিভক্ত বাংলা আজ বিশ্বের সেরা শক্তিশালী দেশ হতে না পারলেও, দরিদ্র মুক্ত একটা উন্নত দেশ হিসাবে পরিণত হতে পারত।

যুগে যুগে বিশ্বাস ঘাতকদের বিশ্বাস ঘাতকতার ফলে, বাংলার ভাগ্যাকাশে নেমে এসেছে দুর্দশার ঘনঘাটা। যার ফলে গুটা অবিভক্ত বাংলা এবং বিশেষ করে আজকের বাংলাদেশ বার বার শোষিত, শাসিত, নির্যাতিত ও বঞ্চনায় জর্জরিত।

১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ও হাজার হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আবার বিশ্বাস ঘাতকের আবির্ভাব। বিশ^াসঘাতকদের মদদে শুরু হয় অরাজকতা ও বিরাজনীতি। এর ফলে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা স্বপরিবারে ঘাতকের বুলেটের শহীদ হন।

৭৫ সালে পর বাংলার ভাগ্যকাশে আবার নেমে আসে দুর্দশার ঘনঘটা। রাজনীতিবিদদের সরিয়ে অরাজনৈতিক বক্তিদের বিরাজনীতি ও অরাজকতায় ১শত বছর পিছিয়ে পড়ে নবজাতক বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে যদিও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি শুরু হয়। তারপরও অনেক গণতান্ত্রিক দল থাকা সত্তে¡¡ও ক্ষমতায় আসে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক ছাউনিতে জন্ম নেওয়া একটি স্বৈরশাসকের দল। যার ফলে রাজনীতির মাঠে সন্ত্রাসবাদের জন্মই বেশি লালিত হয়।

সুদীর্ঘ ২০ বছর পর অনেক সন্ত্রাসের মোকাবিলা করে স্বাধীনতা অর্জনকারী দল আবার ক্ষমতায় আসলেও সারা বিশ্বের এগিয়ে যাওয়া ¯্রােতের অনেক পিছনে পড়ে যায় নবাগত বাংলাদেশ। যদিও শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মরিয়া হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তথাপিও দেশ যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা তত টুকু এগিয়ে যাচ্ছে না।

প্রথমত দেশবিরোধী জামাত-শিবিরের জঙ্গিবাদের পাশাপাশি স্বৈরাচারী দলের অনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অগ্নি সন্ত্রাস, বারবার হোঁচট খেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। এর সাথে সাথে সব চেয়ে বড় সমস্যা দলে হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট কর্মকান্ডের কারণে দেশ এগিয়ে যাওয়ার মুল বাঁধা হিসাবে মনে করি।

এখন আবার বৈশ্বি মহামারীর এই কঠিন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সামনে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। সারা বিশ্ব যেখানে করোনা মহামারীর কাছে বিপর্যস্ত। সেখানে শেখ হাসিনার সামনে এই মহামারি থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা প্রধান কাজ। এর জন্য একমাত্র উপায় দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। না হলে রক্ষা নেই। সরকারী বিধিমালা যদি জনগণ পালন না করেন তাহলে এই মহামারির কবল থেকে জাতি রেহাই পাবে না।


অন্যান্য খবর