ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডাকে প্রায় দুই শতাধিক সেচ্ছাসেবক করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে । বর্তমান সময়ের সাহসী তরুন-যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে মানবসেবায় শপথ নিয়েছে তারা।
ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে প্রতিদিনই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় তরুন-যুবকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে সেচ্ছাসেবক দলের কমিটি।
মানুষের সেবার ব্যতিক্রমি ভাবনার মূল নায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির। তার ডাকে সাড়া দিয়েছিল প্রায় ৯ শতাধিক যুবক। এদের মধ্য থেকে বাছাই করে প্রায় ২ শতাধিক যুবকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ইউনিয়ন, পৌরসভার ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি।
এই স্বেচ্ছাসেবকাদের পুলিশ, ডাক্তার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ। আর এই প্রশিক্ষনের শেষে বরোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা। একঝাক তরুন-যুবকদের সেবার মানসিকতা সমাজের সকল শ্রেনী পেশার লোকজনের নজর কেড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে সার্বক্ষনিক ভাবে নিজেদের এলাকায় ব্যস্থ রয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ফেইসবুক পেইজে ৫০জন স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি ঘোষনা দেওয়ায় হয়। ওই ঘোষনাটি গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয় বিভিন্ন স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে। ইউএনও‘র ফেইসবুক পেইজে ওই স্ট্যাটাসটি অনেক তরুন-যুবকের নজরে পড়ে। শুরু হয় সাহসী যুবকদের একে অন্যের সাথে যোগাযোগ।
বর্তমানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এলাকায় তরুন-যুবকদের নিয়ে পৃথক সেচ্ছাসেবক ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে পরিচয়পত্র। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্য সেবা, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, দাফন ও মৃত দেহ সৎকারসহ সংকটময় মূহুর্তে স্বেচ্ছায় সেবামূলক কাজ করতে ইচ্ছুকরাই এগিয়ে এসেছে। এই সেবামূলক কাজ করাতে পারলে পরিস্থিতি মোকাবেল করা অনেকটা সহজ হবে।