সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগে নেতৃত্বে আছেন চার নেতা। প্রায় এক বছর আগে সম্মেলনের মাধ্যমে তারা সিলেট যুবলীগের হাল ধরেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে নেই কোনো তোড়জোড়।
দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে উদাসীন; এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে সেই তৃণমূল থেকে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় বেরিয়ে আসছে না আর কোনো নতুন মুখ; এমন দাবিও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। ফলে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, এমন অভিযোগও তৃণমূলের। তাই দ্রæত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি তাদের।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে এ দুই ইউনিটে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারেন নি এ দুই ইউনিটের দায়িত্বশীলরা। এতে করে চার নেতায় আটকে আছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। এতে পদ-পদবী প্রত্যাশীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
পদ প্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়ছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই আর ২৯ জুলাই হয় সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলন। এর আগে ২০০৩ সালে জেলা যুবলীগে এবং ২০০৪ সালে মহানগর যুবলীগে সম্মেলন হয়েছিল। তবে ওই সময় নেতৃত্ব নির্ধারণে ভোট হয়নি।
সিলেট যুবলীগে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই করা হয় ১৯৯২ সালে। এরপর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলররা ভোট দেয়ার সুযোগ পান।
যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতিতে সম্মেলনে সিলেট জেলা যুবলীগে শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) সভাপতি ও শামীম আহমদ সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর যুবলীগে আলম খান মুক্তি সভাপতি ও মুশফিক জায়গীরদার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এ চার নেতার তিনজনই আগে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন। সিলেট জেলা যুবলীগে ভিপি শামীম আগের কমিটিরও সভাপতি ছিলেন। মহানগর যুবলীগে সর্বশেষ কমিটির আহবায়ক ছিলেন আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন মুশফিক জায়গীরদার।
সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে পদ প্রত্যাশীদের ব্যাপাওে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এরপর কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্রই কমিটির অনুমোদন দেবে।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, শিগগিরই কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে। যারা ত্যাগী, সৎ, সক্রিয় তাদের কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। কোনো অনুপ্রবেশকারী যাতে কমিটিতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য পদ পেতে আগ্রহীদের জন্য বিশেষ ফরম করেছি আমরা।