পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গ্রামের মানুষ এখন আর অবহেলিত নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী ও শিশুদের প্রতি বিশেষ সহমর্মিতা রয়েছে। নারী-পুরুষদের উন্নয়নের জন্য সরকার সমানভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদ্রোগ, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, অতিদরিদ্রদের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। দেশে এমন কোনো মানুষ নেই যারা না খেয়ে ঘুমায়। তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যায়। বিনামূল্যে সরকারি বই পায়। স্কুলের শিশুদের ইউনিফর্ম ও স্কুল ড্রেস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু লোকের অগ্নিসন্ত্রাসের রেকর্ড আছে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) আগুনের ভাষায় কথা বলেন। তাদের ভাষা গণতান্ত্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ধমক দিয়ে ভয় দেখিয়ে সরকার পাল্টাতে চায়। নিউমার্কেটের আগুনের ঘটনায় তাদেও কোনো সম্পৃক্তরা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, হাওরের এলাকার উড়াল সড়কের কাজ কেন কম হচ্ছে জানি না। দিরাই, শাল্লা, আজমিরিগঞ্জ সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রেললাইন তৈরির কাজ হবে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন, আমরা তাকে সহযোগিতা করছি। আমি পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করি। প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার বেশি সমীক্ষা করতে হয়। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে হবে। গ্রামের মানুষের আয় আগের থেকে বেড়েছে। গ্রামে প্রযুক্তি ঢুকেছে, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে। আগে গ্রামের মানুষ অবহেলিত ছিলেন, এখন তারা অবহেলিত নন।
সুনামগঞ্জ সমাজ সেবা বিভাগের উপপরিচালক সূচিত্রা রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্টানের বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ প্রমুখ।
এতে গণপুর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক মুমিনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা প্রবেশন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ টেলিভিশানের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আইনুল ইসলাম বাবলুসহ জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জেলার ১২টি উপজেলার ৩৪৬ রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে এক কোটি ৭৩ লাখ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।