দুই দেশের মধ্যে নর্ড স্ট্রিম-১ বাল্টিক সাগর পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে গ্যাস প্রবাহ বন্ধ করার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে রাশিয়া ও জার্মানি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে কারিগরি ত্রুটি ঠিক করতে তিনদিনের জন্য জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্যাজপ্রম। শনিবার পুনরায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ছিল। কিন্তু নতুন কারিগরি ত্রুটির কথা বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে গ্যাজপ্রম।
এই জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, পুতিনের রাশিয়া তার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। কিছু সময়ের জন্য তার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না। রাশিয়া আর শক্তির একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী নয়।
অন্যদিকে, বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, নর্ড স্ট্রিম ১ এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করার জন্য ক্রেমলিন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দায়ী করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার উপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো। বিপরীতে রাশিয়াও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ তুলনামূলক অনেক কমিয়ে দেয়।
এদিকে, জার্মানির পক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি বের করা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ ওলাফ শলৎস।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি নিয়ে বেকায়দায় আছে জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো।
দেশটির ক্ষমতাসীন স্যোশাল ডেমোক্রেট দলের রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, গ্যাসকে বার্লিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরোধীতা করায় জর্মিানিতে গ্যাস সরবরাহ কন্ধ করে দিয়েছে মস্কো।
ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে উদ্বৃত্ত গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে হামলার আগে জার্মানির মোট চাহিদার ৫৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করতো রাশিয়া।
ইউক্রেনের হামলার পর রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে দেয়। ২০২৪ সাল নাগাদ জার্মানি গ্যাসের ওপর নির্ভশীলতা ১০ শতাংশে কমিয়ে আনবে বলে জানান ওলাফ শলৎস।