বন্যার পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ শহর। শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্লাবিত হয়েে এসব এলাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রোববার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে ৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদ সীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৩ মিলিমিটার।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পওর-১ মো. সবিবুর রহমান বার্তাবাহককে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভরতে চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে তা সুরমা নদীতে পড়লে পানি আরও বৃদ্ধি পাবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, ১৫ মে পর্যন্ত হাওরের ফসলরক্ষার জন্য সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমা ছিল ৬ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার এবং ১৫ মে-এর পরে বিপদ সীমা হল ৭ দশকি ৮০ সেন্টিমিটার। ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করলেই বর্ষাকালে সুরমা নদীরন পানি বিপদ সীমা ধরা হয়।
এদিকে, সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুর, বিশ^ম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজারের গ্রামীণ সড়ক ডুবে গিয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সদরের সবক’টি রাস্তা ডুবে গিয়ে উপজেলা সদরে বাসাবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। একই অবস্থা তাহিরপুর উপজেলায়ও।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্ধসন সিংহ বার্তাবাহককে জানান, এ উপজেলা ৬০/৭০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ছাতক উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ছাাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক প্লাবিত হয়ে এ উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শনিবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরী সভা করেছে। এ সভা থেকে উপজেলা প্রশাসনকে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনসহ প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এক সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলগুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।