দেশের কোথাও দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সেখানে নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত ১১ ধরনের তথ্য দিয়ে এই আবেদন করতে পারবেন স্কুল স্থাপন করতে আগ্রহীরা।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমামুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশের বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় স্কুল স্থাপনের জন্য নতুন আবেদনপত্র নেয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়-বিদ্যালয়সমূহের আবেদন ডকুমেন্টসসহ আগামী ১৮ মে মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
বিদ্যালয়সমূহের আবেদন যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে সংযুক্ত সকল যাচিত ডকুমেন্টসের সফটকপি ‘ঊীপবষ ড়িৎশংযববঃ-৪ টহরপড়ফব ঘরশড়ংয ইঅঘ’ ফন্টে পূরণ পূর্বক ফরৎঢ়ষধহফঢ়ব@মসধরষ.পড়স অথবা ধফঢ়ষধহফঢ়ব@মসধরষ.পড়স ঠিকানায় আগামী ১৮ মে’র মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। কোন অপূর্ণাঙ্গ আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
এছাড়াও আরও ১১ ধরনের তথ্য দিয়ে এ আবেদন করতে হবে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যবিবরণী, উপজেলা পর্যায়ের গঠিত কমিটির সুপারিশ, চারদিকের (উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব ও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, প্রস্তাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান, দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল থাকলে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা বা অন্য কোনো বিষয় থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে।
প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের গ্রামে কোনো স্কুল আছে কি না, নিজস্ব জমি আছে কি না, না থাকলে বিকল্প প্রস্তাব কী হবে, জমি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, জমি থাকলে তাতে বিদ্যালয় করার মতো উপযোগী কি না এসব তথ্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রতি দুই কিলোমিটার এলাকায় একটি করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।