বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরতে পারলেই আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করা যাবে। তিনি ছিলেন নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি।
‘তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপসহীন যোদ্ধা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চরম সংকটাপন্ন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে ‘মাস্তানতন্ত্র’ কায়েম করা হয়েছে। প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রবিনাশী উৎপীড়ক শাসকগোষ্ঠী জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে।
ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম তুর্যবাদক মওলানা ভাসানীর উদ্যোম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেই গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিবাদী ও আগ্রাসী শক্তিকে আমরা রুখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবেন, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবেন, বলেন তিনি।
দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে এবং গণতন্ত্র ও জণঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।