৩৯ তম বিসিএসে সাফল্য অর্জন করে ডা. এ কে এম আবদুল মোতাকাব্বির ভবিষ্যতে একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ফলাফলে সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
নিজ গ্রামের মানুষ ও ছেলেবেলার স্মৃতিবিজরিত এলাকার মানুষের পাশে সবসময় থাকার প্রবল ইচ্ছেও তার। ডা. মোতাকাব্বির বিসিএস (স্বাস্থ্য) এর ফলাফল অনুযায়ী সহকারী সার্জন পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ডা. মোতাকাব্বির জানান, এই অবদানের পেছনে সৃষ্টিকর্তার পর, তার বাবা-মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও সদিচ্ছা ছিল। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঠিক গাইড লাইন, তার উপর ভরসা রাখা ও নিয়ামানুবর্তিতা ছিল তার প্রধান অনুপ্রেরণা।
এই সাফল্যের পেছনে তার বড়বোন সবচেয়ে বেশি সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বলে জানান তরুণ এই চিকিৎসক।
তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৮ সালে একই কলেজ থেকে ইন্টার্নি শেষ করেছেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিশু রোগ বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ সম্পন্ন করেছেন।
এর আগে ২০১১ সালে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেন। ২০০৯ সালে মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
ডা. মোতাকাব্বির হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। বাবা আবদুল মালেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে মোতাকাব্বির দ্বিতীয়।
তার বড় বোন চুনারুঘাট উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। আরেক বোন সিলেট নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। তার ছোট বোন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন।