সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছিনতাই করতেই খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান। পুলিশ বলছে, হত্যার ঘটনায় বুলবুলের কথিত প্রেমিকার সম্পৃক্ততা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার বলেন, ঘটনার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। আটক করা হয় তিনজনকে। তাদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে মো. আবুল হোসেন খুনের ঘটনায় জড়িত মর্মে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে স্বীকার করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কামরুল আহমদ ও মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারাও স্বীকার করেন। পরে কামরুলের বাড়ি থেকে বুলবুলের মোবাইলফোন ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে আমরা জেনেছি, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। শাবির গাজীকালু টিলা এলাকায় সোমবার অবস্থান করছিলেন আবুল হোসেনসহ চারজন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুইজন চলে যায়। সন্ধ্যার পর বাকি দুইজনের সঙ্গে যোগ দেয় কামরুল।
গাজীকালু এলাকায় সন্ধ্যার পর ঘুরতে যান শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ ও মার্জিয়া ঊর্মি। ওই এলাকা নির্জন। তাদের সেখানে পেয়ে আবুল হাসান, কামরুল আহমদ ও মো. হাসান মোবাইল ও টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে বুলবুলের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। তখন তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঊর্মিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বলেছে, ঘটনার সময় বুলবুলের কাছ থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিল। বুলবুলের মানিব্যাগও খোয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃতরা বলেছে, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতের পর রক্ত দেখে তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে উর্মির চলে যাওয়া এবং কললিস্ট মুছে ফেলার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্কের কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।