সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে শাল্লার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেবকে প্রধান আসামি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলের সদস্য মো. শওকত আলী। স্পেশাল পিটিশনে মামলা নাম্বার ৪।
মামলাটি গ্রহন করেছেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিলিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মহি উদ্দিন মুরাদ।
মমালার অন্যান্য আসামিরা হলেন, শাল্লা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ তালুকদার, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বরেন্দ্র রায়ের ছেলে বিপ্লব রায়।
আদালত সূত্র জানায়, জেলা ও দায়রা জজ অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় নতুন জজ যোগদান করারপর মামলাটি আগামী ২৭ এপ্রিল মামলার গ্রহনযোগ্যতা শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরে শাল্লা উপজেলাধীন ভান্ডাবিল হাওরের উপ-প্রকল্পের আওতায় নতুন বৈশাখালী ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরন ও মেরামতের জন্য ২৭ নং পিআইসি তৈরি করা হলে সেখানে ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড । কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমি যার এমন লোককে পিআইসি কমিটিতে রাখার বিধান থাকলেও তা না মেনে উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ তালুকদার, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে অবৈধভাবে ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও সদস্য করা হয়। এ পর্যন্ত ওই বাঁধের কাজের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করা হলেও এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে শান্ত, বকুল ও বিপ্লবকে পিআইসি দিয়েছে বলেও মামলা উল্লেখ্য করা হয়েছে।