সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেত্রীরা। তাদের মধ্যে আছেন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আন্দোলন-সংগ্রামে দলের জন্য নিবেদিত সাবেক ছাত্রনেত্রী।
তেমনি আছেন বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকাও। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের কাছেও। জানাচ্ছেন আন্দোলন ও নির্বাচনে দলের পক্ষে ভূমিকার কথা।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য পাবেন দলের ত্যাগী এবং মাঠের পরীক্ষিত নারী নেত্রীরা। এক্ষেত্রে নানা কারণে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরাও এগিয়ে আছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীদের দেখা যাবে সংসদে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার নারীদের নামও শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারাও।
শরিকদের মধ্য থেকে দু-তিনজনকে আওয়ামী লীগের কোটায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য করা হতে পারে। তবে এবার নতুনদের বেশি সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। অর্থাৎ দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া আগের নারী এমপিদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী নেত্রীরা প্রাধান্য পান। প্রার্থীর যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরাও থাকেন। বিভিন্ন পেশার খ্যাতিমান যারা তারাও থাকতে পারেন। এবারও এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দল মনোনয়ন দেবে।
তিনি আরও বলেন, একবার যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়, সাধারণত পরেরবার তাদের আর দেওয়া হয় না। তবে বিশেষ কারণে দু-একজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।