সিলেটে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্টিত হয়। সিলেটের প্রধান জামাত ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (৩ মে) সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক (বরুণী)।
হযরত শাহজালাল (র.)’র দরগাহ মাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সাড়ে ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন দরগাহ মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী। নামাজে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঈদুল ফিতরের জামাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ইমামতি করেন বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা শাহ আলম।
বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথমটি, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়টি ও সাড়ে ৯টায় তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, টিলাগড় মাদানী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদ, রেজিস্টারি মাঠ, সিলেট জর্জ কোর্ট জামে মসজিদ, মদিনা মার্কেট জামে মসজিদসহ নগরের ৪৪৪টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের বিভিন্ন মসজিদে ৩৫৩টি ও ঈদগাহে ৯১টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ প্রশাসন।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছর করোনার প্রকোপের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে পড়তে হয়েছিল ঈদের নামাজ। ফলে খোলা ময়দানে বা ঈদগাহে মুসল্লিরা সমবেত হয়ে ঈদের জামাত হয়নি গত ৪ ঈদে।