সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ২০০৩ সালে ২৭ আগস্ট জেলার ছাতক উপজেলার শক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলী ও মালেকা বেগমের মেয়ে শেফালী বেগমের বিয়ে হয় একই জেলার তৎকালিন সদর উপজেলার জয়কলস গ্রামের খাসিদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর সাথে। বিয়ের প্রায় দুমাস যাবার পর থেকে আব্দুল্লাহ যৌতুকের জন্য স্ত্রী শেফালীকে মারধর করতো। একই বছরের ২৬ অক্টোবর রাতে শেফালীকে মারধর করে স্বামী আব্দুল্লাহ এক পর্যায়ে শেফালী মারা গেলে বাড়ির পিছনে একটি আমগাছে শেফালীকে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করছে বলে প্রতিবেশীদের জানায়। পরে সদর থানা পুলিশ শেফালীর মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় শেফালী বেগমের শরীরে মারপিটের চিহ্ন দেখে পরদিন শেফালীর মা মালেকা বেগম সুনামগঞ্জ সদর থানায় আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে তার বাবা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেছার বিরুদ্ধো হত্যা মামলা দায়ের করে
দীর্ঘ শুনানী ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদÐ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করেন এবং খাসিদ আলী ও সৈয়দুন্নেছাকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালকা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সোহেল আহমদ ছইল মিয়া এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মানিক।