হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও সুনামগঞ্জের উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা ও ছেলেসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরের দিকে বানিয়াচং উপজেলার ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের বড়ো বান্দ নামক হাওর ও ৮নং খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়ার হাওরে এবং জাতুকর্ণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে হাওরে যায় মোহাম্মদ হোসাইন (১২) নামে এক শিশু। এ সময় বজ্রপাতে হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোহাম্মদ হোসেন। নিহত মোহাম্মদ হোসাইন ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের তাতারি মহল্ল্যার আক্কেল আলীর ছেলে। একই সময়ে উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়ার গ্রামের আলমগীর মিয়া (২৬) ধানের খলা থেকে ধান সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত আলমগীর ওই গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে। উপজেলার জাতুকর্ণ পাড়ার আব্দুর রহমান মিয়া মেয়ে জুমা বেগম (১২) বাড়ির আঙ্গিনায় দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় হঠাৎ] বজ্রপাতে মারা যায়।
বানিয়াচং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তাবাহককে জানান, বজ্রপাতে মারা যাওয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রসাশক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জের শাল্লায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মকবুল খাঁ (৫০) ও তার ৭ বছরের ছেলে মাসুদ খাঁর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নাছিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক মকবুল খাঁ উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বার্তাবাহককে জানান, মাসুদ খাঁ তার দুই ছেলে ও শ্যালক পুত্রকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির পাশে জমিতে ধান কাটতে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে মকবুল খাঁ ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সঙ্গে মকবুল খাঁর ছেলে রিমন খাঁ (১১) ও শ্যালক পুত্র তানভীর হোসেন(৭) আহত হন।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তাবাহকে জানান, আহতদের নিকটতম হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।