প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, যে সকল অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে সেই এলাকার স্কুলগুলোকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটি প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। তাই আমি নিজেই হাওর অঞ্চলের এলাকার স্কুল গুলোর খোঁজ খবর নিতে এসেছি।
তিনি বলেন, এ এলাকার স্কুলগুলোর প্রতি আমাদের বিশেষ নজর থাকবে। কারণ হাওর অঞ্চলে পানির সময় বাচ্ছারা স্কুলে যেতে পারে না। এ সকল সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়, একই সাথে শিক্ষকদের কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। বেশি দুর্গম এলাকাকে চিহিৃত করা হবে। এর জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার (১০ মার্চ) সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে জেলার মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে “সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে” প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী আরও বলেন,সরকার প্রধানের উপর আস্থা রাখুন তিনি আগামী প্রজন্মকে ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির কথা দিয়েছিলেন নিশ্চয়ই তিনি সেটি করবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট শিশু যেমন তৈরি করা হবে, তেমনি শিক্ষকদেরও স্মার্ট হতে হবে। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ ইতিমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটি এজেন্ডা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নূরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব মনীষ চাকমা, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ প্রমুখ।
বিকেলে প্রতিমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন।