বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


বাংলাদেশের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (১৯ জুলাই)। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওই বছরের ২৩ জুলাই তাঁর মরদেহ আনা হয় দেশে। পরদিন নুহাশপল্লীর বৃষ্টিবিলাসের পাশে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। সেই শোক আজও কাটেনি ভক্ত-পাঠকদের হূদয় থেকে। হুমায়ূন নেই, কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন লক্ষ পাঠকের হৃদয়ে।

লেখালেখি আর সিনেমা-নাটক নির্মাণের মাধ্যমে সব বয়সী মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এই লেখক-নির্মাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের মতো এবারও আনুষ্ঠানিক তেমন কোনো আয়োজন থাকছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দ্বিতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিক আয়োজন বাদ দেয়া হয়েছে। তবে এবারও পরিবারের সদস্যরা নুহাশপল্লীতে যাবে। কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সকালে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে নুহাশপল্লীর তত্ত্বাবধায়ক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। উপন্যাসে নিজের প্রতিভার বিস্তার ঘটলেও তার শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে। এরপর নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর। হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির জনকও বটে।

তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ১৯৭২ সালে প্রকাশের পরপরই তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর একের পর এক উপন্যাস লিখে পেয়েছেন অতুলনীয় জনপ্রিয়তা। তাঁর একটি নতুন বই আর সেই বইয়ে একটি অটোগ্রাফের জন্য বাংলা একাডেমির বইমেলায় তরুণ-তরুণীদের দীর্ঘ লাইন বইপ্রেমীদের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে আছে। এ দেশে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা এই লেখক দুই শতাধিক ফিকশন ও নন-ফিকশন বই লিখেছেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘দেয়াল’, ‘বাদশা নামদার’, ‘কবি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘লীলাবতী’, ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘নৃপতি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নক্ষত্রের রাত’ ইত্যাদি।


অন্যান্য খবর