প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পুরো বিশ্ব এখন দিশেহোরা। সংক্রমণরোধে সর্বত্র চলছে ‘লকডাউন-সঙ্গনিরোধ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় বাড়ছে নানাবিধ সংকট। নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তরাও সংকটে পড়েছেন। কারও কাছে হাত পাততেও পারছেন না অনেকে। এ পরিস্থিতিতে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে দিনরাত সিলেটেরে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে চলেছেন একজন সফি আহমদ। সাধ্যমতো সহায়তা তুলে দিচ্ছিন দুর্দশাগ্রস্ত পরিবাররে হাতে। অনেকটা নীররে-নিভৃতে তিনি এই তৎপরতা চালালেও ইতোমধ্যে তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠছেন।
মো. সফি আহমদ একজন পুলশি সদস্য। সিলেটে মহানগর পুলশিরে নায়েক পদে র্কমরত। র্বতমানে তিনি মহানগর পুলিশের মডিয়িা ও কমিউনিটি সার্ভিস বিভাগে র্কমরত আছনে। তার বাবা ছিলনে দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী (পুলিশ)। বাংলাদশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরদিন থেকেই মূলত তিনি কাজ শুরু করেন। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শেষে নিজের মোটরসাইকলে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দুর্দশাগ্রস্ত মানুষরে খোঁজে। গরীব ও অসহায় মানুষরে ঘরে খাদ্যসামগ্রি পৌঁছে দিচ্ছনে মো. সফি আহমেদ। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করছেন তিনি।
সফি আহমেদের পথচলা শুরুর গল্পটাও অন্যরকম। প্রথমে নিজের দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদরে তিনি আর নিজের মধ্যে তৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখতে পারনেনি। যেখানেই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ দেখেছেন সেখানেইে বাড়িয়ে দিয়ছেনে সহযোগিতার হাত। তাঁর এই তৎপরতা সহজেই সকলের নজরে কাড়ে। সামাজকি যোগাযোগ-মাধ্যমেও প্রশংসায় ভাসতে থাকেন সফি আহমদ। অনকেইে তাঁকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তবে শফি আহমদ বলছেন, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এসবিসি নামের একটি সংগঠনরে পক্ষ থেকে ৫০টা পরিবাররে হাতে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করেন তিনি। এরপর থেকে আজ অবধি ব্যক্তগত উদ্যোগে প্রতিদিন সিলেটেরে বিভিন্ন পরিবাররে হাতে খাদ্যসামগ্রি তুলে দিচ্ছেন। নিজের অফিসের দায়িত্ব¡ পালন শেষ করে মোটরসাইকেলে খাদ্যসামগ্রি নিয়ে ছুটে চলেন গরীব অসহায়দের ঘরে। তবে তার এই উদ্যোগে শুধু গরীব অসহায়রা সাহায্য পাচ্ছেন তা কিন্তু নয়।
অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার তাঁর মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে সাহায্য নিচ্ছেন। এই উদ্যোগ শুরু সম্পর্কে সফি আহমদ বলেন, প্রথমদিকে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হতে চাই-শিরোনামে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটা পোস্ট করি। তখন অবশ্য টাকার বিনিময়ে খাদ্য পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। যাতে মানুষজন বাসায় থাকেন। তবে যতগুলো ফোন আসে সবাই ফোন দিয়ে জানায় তাদের কাছে খাবাওে কিছু নেই হাতে টাকাও নেই। তখন থেকে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করে আসছি।
সফি আহমদ জানান, তাঁর বাবা ছিলনে একজন মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি বেঁচে নেই। বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা, পেনশনের টাকা, পরিবাররে সদস্য, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ,সহকর্ম ও বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে পাওয়া সাহায্য থেকেই তিনি এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই র্কক্রম চালাতে গিয়ে তাকে কিছুটা ঋণগ্রস্তও হতে হয়েছে। এছাড়া সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সবাই আর্থিক সহযোগিতাসহ সবধরণের সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।