সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, ২০২২ সালের বন্যার পর সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৭শত কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় এক হাজার ৭শত কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একটু পানি কমলে কাজ শুরু করা হবে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এবস কথা বলেন।
সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী আরও বলেন, যে সকল জায়গায় সড়কের জন্য পানি চলাচল করতে বাধার সৃষ্টি হয় সেসব স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
নূরী বলেন, এবার সড়ক মেরামতে স্থানীয়দের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা হবে। আগামী সোমবার যে ইন্জিনিয়ারিং টিম আসবে তাদেরকে বলে দেব তারা যেন অফিসের সাথে কথা বলার আগে স্থানীয় লোকজন জনের মতামত নেয়। স্থানীয়দের মতামতের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান সমন্বয় করে কাজ করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধান প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফজলে রাব্বি, তত্বাবধাক প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম প্রামানিক প্রমুখ।
সভায় এবার বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৯৬ কিলোমিটার সড়ক এবং কয়েকটি ব্রীজের অ্যাপ্রচোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বন্যায় কি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
সভার শুরুতে সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য ইতিহাস সংস্কৃতি পর্যটন সম্পর্কে পরিচিতি তুলে ধরা হয়।